"গণতন্ত্রের টুটি টিপে হত্যা করা হচ্ছে” - বিপ্লব কুমার দেব
ত্রিপুরা থেকে ছুটে এসেছেন বিপ্লব কুমার দেব। উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত হামলার শিকার হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নজরও কেড়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা বিপ্লব কুমার দেব (Biplab Kumar Deb)। সম্প্রতি তিনি তার নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, “উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে গিয়ে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনীর পরিকল্পিত হামলার শিকার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আজ তাঁদের দুজনের সাথে সাক্ষাৎ করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হই।”
বিপ্লব কুমার দেব আরও জানান, “ক্রমেই জনআস্থাশুন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারাবার আগাম বিদায় ঘন্টা শুনতে পেয়ে একপ্রকার সরকারিতন্ত্রকেও দলীয় তন্ত্রে পরিবর্তিত করে জঙ্গলরাজ, সন্ত্রাস ও রক্ত ঝরানোর রাজনীতিকে হাতিয়ার করেছেন। প্রতিদিন একেকটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়ে চলেছে, মমতাহীন মমতা শাসনে।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত নেতারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও এই হামলার ঘটনায় এখনও কোনো গ্রেপ্তারি বা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিক সমাজ এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তুলেছে। উত্তরবঙ্গের এই বন্যা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মূল উদ্দেশ্য ছিল নেতাদের। কিন্তু রাজনৈতিক বিবাদ এবং স্থানীয় দুষ্কৃতী বাহিনীর পরিকল্পিত আক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। এরমধ্যে বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবের এই পোস্ট রাজ্য রাজনীতিতে আরও উত্তাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে রাজনীতি মহল।
#political
"পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে'' - নাগরাকাটা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত
বুধবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, এ জিনিস চলতে পারে না। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এবার প্রয়োজনে পাল্টা মার শুরু করতে হবে। বুধবার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন, ” পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে গ্রেফতার করুন। উত্তরবঙ্গে বিজেপি এই ক্ষমতা রাখে।” সুকান্ত সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে থেকেছেন, শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে অভিযোগ করছেন সুকান্ত।
তিনি বলেন, “যাঁরা আক্রমণ করেছেন, তাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমাকে এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে? তা নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিস্কার বলে দিচ্ছি , যাঁদের নাম ও ফটো দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, বিজেপি বিজেপির মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয় না কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” পুলিশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মুকে দেখতে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার আগেই দেখতে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
#political
আন্তর্জাতিক
পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী
চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরে পদার্থ বিজ্ঞান। সোমবার নোবেল কমিটি ঘোষণা করলেন পদার্থ বিদ্যায় নোবেল প্রাপকের নাম। ২০২৫ সালে পদার্থবিদ্যায় তিন জন মার্কিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন। মাইক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিংয়ে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন জন ক্লার্ক, মাইকেল এইচ ডিভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস। এক বিবৃতিতে স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, “বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তির পরিমাণ নির্ধারণের আবিষ্কারে” বড় ভূমিকার জন্য তিন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। নোবেল কমিটির চেয়ারপার্সন ওললে এরিকসসন বলেন, “শতাব্দী প্রাচীন কোয়ান্টাম মেকানিক্স যেভাবে ক্রমাগত নতুন নতুন চমক আনছে তা উদযাপন করতে পারা একটা অসাধারণ ব্যাপার। কারণ কোয়ান্টাম মেকানিক্স হল সমস্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত।”
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই বছরের পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম সেন্সর-সহ পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম প্রযুক্তি বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।” উল্লেখ্য, পুরস্কারজয়ী তিন জনই মার্কিন বিজ্ঞানী। তারা ১১ মিলিয়ান সুইডিস ক্রাউন অর্থাৎ ১.২ মিলিয়ান ডলার পুরস্কারমূল্য পাবেন। এই খবরে সর্বত্র খুশির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
#international
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনের হামলার জেরে দাউ দাউ করে জ্বলছে রাশিয়ার তেলভাণ্ডার
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ তো নেই বরং বেড়েই চলেছে। রাশিয়ার প্রতি আঘাতের প্রতিঘাত দিচ্ছে ইউক্রেন। এই আবহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রাইমিয়ার তেলভাণ্ডারে ভয়ংকর হামলা চালাল ইউক্রেনের সেনা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হামলার জেরে দাউ দাউ করে জ্বলছে তেলভাণ্ডার। এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধে কি তাহলে এবার কোণঠাসা হচ্ছে রুশ ফৌজ? ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রাইমিয়ার যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে রুশ সেনা অস্ত্র প্রস্তুত করত। তৈরি হত মারণ মিসাইল এবং বোমা। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধেই আমাদের এই অভিযান ছিল। সূত্রের খবর, শতাধিক ড্রোন নিয়ে এদিন ক্রাইমিয়ায় হামলা চালায় ইউক্রেনের সেনা।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেছে, রাতভর তাঁরা ইউক্রেনের মোট ২৫১টি ড্রোন নামিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করেছিল মাস্কো। সেখান থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে তেল সরবরাহ করা হত। সেখানেই হামলা চালিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলল ইউক্রেন। তবে ক্রাইমিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের হামলা এই প্রথম নয়। ২০২৪ সালে সেখানকার তেলের ভাণ্ডারে হামলা চালিয়েছিল ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ।
#international
বিনোদন
'ফসিলস'-এর ১২০ মিনিটের অনুষ্ঠানে কেঁপে উঠেছিল আটলান্টার পূর্বাশা দুর্গামন্ডপ
আটলান্টায় এই প্রথম রূপমের ফসিলসের অনুষ্ঠান। ১৫ বছর ধরে আটলান্টায় দুর্গা পুজোতে বাংলার বহু শিল্পী গেলেও ফসিলসের অনুষ্ঠান এই প্রথম। ২৬ সেপ্টেম্বর ফসিলসের অনুষ্ঠান ঘিরে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে তুঙ্গে ছিল উন্মাদনা। প্রেক্ষাগৃহে যেন শুধুই কালো মাথার ভিড়। ‘রূপম’ ও ‘ফসিলস’-এর নামে ওঠা চিৎকারে কেঁপে ওঠে চারপাশ। ১২০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে একের পর সুপারহিট গানে প্রবাসীদের আলাদা জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন রূপম ও তাঁর টিম। আটলান্টার পুজোয় এবছর দেখা গিয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন। পূর্বাশার সভাপতি স্বাতী দাস জানিয়েছেন, “এইবছর আমাদের পুজো নিয়ে ছিল আলাদা উন্মাদনা। এবার আমাদের পুজো ১৫ বছরে পড়ল। ১৫ বছর ধরে আটলান্টায় বসবাসকারী বাঙালিদের ভালোবাসার প্রতিদান ফসিলসের অনুষ্ঠান।”
পূর্বাশার বোর্ডের চেয়ারপার্সন গৌরব মজুমদার জানিয়েছেন, পূর্বাশা সবসময় সংস্কৃতি, যুব সম্প্রদায় ও উদযাপনের পক্ষে। এই বছর আমাদের পুজো ১৫ বছরের। ফসিলসের কনসার্ট তাতে অন্যমাত্রা যোগ করেছে। আমার মনে হয় এটাই আমাদের সেরা পুজো। এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ একছাতার তলায় এসেছিলেন। এই রকম অনুষ্ঠান আগামীতে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।”
#Entertainment
বিনোদন
উত্তরবঙ্গের বন্যাত্রাণে একঝাঁক বিনোদন জগতের মানুষ
গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে প্রবল ক্ষতি হয়েছে উত্তরবঙ্গের। ধস, বন্যা ও ব্রিজ ভেঙে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। রাজনীতির মানুষেরা অনেকেই পৌঁছে গেছেন উত্তরবঙ্গে। তৃণমূল দূরবৃত্তদের আক্রমনে মুখের হাড় ভেঙেছে বিজেপি সাংসদ খাগেন মুর্মুর। সেই পরিস্থিতিতেই টলিপাড়ায় অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যেই রুক্মিণী মৈত্র তাঁর নতুন ছবির টিজার লঞ্চ বাতিল করেন। আর এরপর দেবকে দেখা গেল বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ত্রানের ব্যবস্থা করতে। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমের পাতায় দেব ত্রান বিতরণের বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নেন। তবে দেব নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর প্রতিনিধিরাই তাঁর হয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। দেবের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায় একটি পোস্টার লাগানো, তাতে দেবের ছবি দেওয়া। তার পাশে লেখা, ‘উত্তরের বন্যায় দেব’। সামনে চাল, আলু, ডাল, সবজি সব রাখা। একাধিক ছবি ভাগ করে নিয়ে দেব ক্যাপশনে লেখেন, ‘উত্তরবঙ্গের এই কঠিন সময়ে আমি পাশে আছি, প্রার্থনা করি সবাই সুস্থ থাকুক ও এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই বলেছেন যে তাঁরা উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকবেন।’
অন্যদিকে, এরপর পরই সমাজ মাধ্যমের পাতায় দেখা যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও পোস্ট করেছেন। তাঁরা পোস্টে লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। দুর্গাপুজোর বাংলা সিনেমা মানুষকে আনন্দ দিতে পেরেছে, কিন্তু প্রকৃতি সেই উদযাপনে বাধা দিয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গের তীব্র কান্না অনুভব করতে পারি। এই সময়ে আমরা, হাতে-হাত ধরে আপনাদের যুদ্ধের অংশীদার হওয়ার তাগিদ অনুভব করেছি। কারণ উত্তরবঙ্গের মানুষদের ছাড়া আমাদের সিনেমা, আমাদের অস্তিত্ব অসম্পূর্ণ। সিনেমা শুধু বিনোদন দিতে পারে, এমন তো নয়। সিনেমা ভরসাও দিতে পারে।’
#social
প্রসঙ্গ উত্তরবঙ্গের বন্যা - রাজভবনে খোলা হয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন সেল
হতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নেপাল সহ উত্তরবঙ্গ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। বিপর্যস্ত হাজার পাহাড়ের হাজার হাজার মানুষ। চূড়ান্ত তৎপর রাজ্য প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতেই রাজভবনে খোলা হয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন সেল। রাজভবনের এক বার্তায় বলা হয়েছে,রাজভবনে যে পিসরুম খোলা হয়েছিল, তা আবার সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার উত্তরবঙ্গের দুর্গতদের জন্য ব়্যাপিড অ্যাকশন সেল খোলা হল। ২৪ ঘণ্টা এখানে যোগাযোগ করা যাবে। এর জন্য রাজভবনের তরফে একটি নম্বর ও ইমেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাজভবনের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ব়্যাপিড একশন সেলের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকছেন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সন্দীপ সিং রাজপুত।
উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষ যেকোনও সমস্যার কথা জানাতে এখানে ফোন করতে পারেন। ফোন নম্বর হল ০৩৩-২২০০১৬৪১। এছাড়া মেইল করেও নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সবাই। ব়্যাপিড অ্যাকশন সেলের মেইল আইডি হল peaceroomrajbhavan@gmail.com। লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সবাইকে ধীরস্থির থাকার আবেদন জানিয়ে উদ্ধারকাজে প্রশাসনকে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
#social
প্রসঙ্গ উত্তরবঙ্গের বন্যা - 'স্টেট ডিজাস্টার' ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি রাজু বিস্তার
বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণে পৃথিবীর প্রকৃতির ভারসাম্য সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারই পরিণামে শরতের শেষেও বাংলা জুড়ে হয়ে চলেছে প্রবল বৃষ্টি। আর গত কয়েকদিন ধরে নেপাল সহ উত্তরবঙ্গে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। সেই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। উত্তরবঙ্গে উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভূমি ধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দার্জিলিং , কালিম্পং এবং মিরিকে। বানভাসী হয়েছে উত্তরের নীচের দিকের জেলাগুলি। আর এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্য জুড়ে বিপর্যয় বা ‘স্টেট ডিজ়াস্টার’ ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ।
সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি জানেন গত দু’দিন ধরে চলা লাগাতর বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্স সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই এই পাহাড়বাসীদের প্রতিনিধি হিসাবে আপনার কাছে একটাই আর্জি রাখতে চাই।’ তাঁর সংযোজন, ‘দয়া করে দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্স সংলগ্ন অঞ্চলে বৃষ্টির জন্য তৈরি হওয়া ভূমিধসকে রাজ্যস্তরীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করুন। পাশাপাশি, কেন্দ্রকেও এই ক্ষয়ক্ষতি, মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানান। তাদের জানান, এই বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের মানুষের জনজীবন, কৃষি জমি, রাস্তাঘাট কি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তা হলে কেন্দ্রও তাদের তরফ থেকে আমাদের দিকে বাড়তি সাহায্যের হাত এগিয়ে দিতে পারবে।’ এরপরেই রাজ্যের দিকে আক্রমণের সুরে ওই বিজেপি সাংসদ লেখেন, ‘আজ এই অনুরোধ করার কারণ একটাই। ২০২৩ সালে তিস্তায় হওয়া বন্যাকে রাজ্য বিপর্যয় বলে ঘোষণা না করার জেরে দুর্গতরা কোনও রকম ক্ষতিপূরণ পাননি। সবটা থেকে কার্যত তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। আমার বিশ্বাস এবার আপনি সেই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবেন।'
#political
প্রসঙ্গ উত্তরবঙ্গের বন্যা - দলীয় কর্মীদের বিশেষ বার্তা অভিষেকের
ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গের। প্রবল ধসে ও ব্রিজ ভেঙে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সমস্ত পর্যটক সহ সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত। বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিকাল(সোমবার) উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুধিয়া ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে মূল যে সড়কপথ, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকেছে। জলে টোটোর ভেসে যাওয়ার ছবি সামনে এসেছে। আশ্রয় হারিয়েছেন অনেকেই।
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সোমবার উত্তরবঙ্গ যাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। স্বজনহারা পরিবারগুলি যাতে চাকরি পায়, তাও দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এবার অভিষেকও দলের নেতা-কর্মীদের দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন। দুর্যোগে মৃতদের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক লেখেন, “এই দুর্যোগে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এই কঠিন সময়ে তাঁরা একা নেই। দুর্গতদের কাছে পৌঁছনো, তাঁদের সাহায্যের জন্য আমি প্রত্যেক তৃণমূল কর্মী, স্বেচ্ছাসেবককে অনুরোধ জানাই। আমাদের সকলের প্রয়াস এবং মা দুর্গার আশীর্বাদে এই দুর্যোগ আমরা কাটিয়ে উঠব।”
#political
সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত নেপাল - মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ - নরেন্দ্র মোদীর শোক জ্ঞাপন
নেপালের অবস্থা ভয়াবহ। সাম্প্রতিককালে নেপালে এমন প্রবল বৃষ্টিপার হয় নি। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে নেপাল। লাগাতার বৃষ্টিতে নেপাল জলমগ্ন। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস, তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। লাগাতার এই বৃষ্টিতে নেপালে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে নেপালের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। তিনি লেখেন, “ভারী বৃষ্টিতে নেপালে যে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা হৃদয় বিদারক। আমরা নেপালের মানুষদের ও নেপাল সরকারের পাশে রয়েছি এই কঠিন সময়ে। বন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্য করতে প্রস্তুত।” স্বাভাবিক কারণেই ভারতের এই প্রতিক্রিয়ায় নেপায় খুশি। নেপালে ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত ভারত।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই পাহাড়ি দেশে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। পূর্ব নেপালে কোশী, গণ্ডক, বাগমতীর মতো ৮টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে একাধিক এলাকা। উদ্ধারকাজ চালাতে অভিযানে নেমেছে নেপাল পুলিশ, নেপাল সেনা ও আর্মড পুলিশ ফোর্স। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য রবিবারই নেপাল সরকার দুইদিনের ছুটির ঘোষণা করে। আরও জানানো হয়েছে, এই দুর্যোগে যদি কারোর মৃত্যু হয়, তাহলে নেপালি মুদ্রায় ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নেপালে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইলাম। সেখানে ধস ও হড়পা বানে ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কোশীতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা নেপালবাসি।
#happy soci #social