দুর্গাপুর গণধর্ষণ ঘটনায় গ্রেফতার আরো এক
এই নিয়ে মোট ৪ জন গ্রেফতার হলো। দুর্গাপুরের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকে কেন্দ্রী করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা।
দুর্গাপুরে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ রবিবার তাদের পরাণগঞ্জের জঙ্গল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ রবিবার এই তিন অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবার এই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল। চতুর্থ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) সদস্য অর্চনা মজুমদার দাবি করেছেন, এই মামলায় নির্যাতিতার বন্ধুর ভূমিকা সন্দেহজনক। হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, মেডিক্যাল ছাত্রীকে তার বন্ধু কলেজ থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিল। অর্চনা মজুমদার জানান, 'নির্যাতিতার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বন্ধুই জেদ করে নির্যাতিতাকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল।' স্বাভাবিক কারণেই বন্ধুর দিকে পুলিশের প্রথম নজর।
জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) সদস্য অর্চনা মজুমদার আরও বলেন, অভিযুক্তরা যখন কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে নির্যাতিতাকে ঘিরে ফেলে, ঠিক তখনই তার বন্ধু চলে যায়। পুলিশের উচিত এই দিকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা, কারণ প্রাথমিক প্রমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই ঘটনায় বন্ধুটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে। ওড়িশা থেকে দুর্গাপুরে আসা নির্যাতিতার বাবাও তাঁর মেয়ের কথিত বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাবার বক্তব্য, 'অভিযুক্তরা আমার মেয়েকে ঘিরে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধু পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে এখন প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছে। সে হাঁটতেও পারছে না। সে হাসপাতালের বিছানায় আছে। আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত। আমাদের আশঙ্কা, যেকোনও সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে। সেই কারণেই আমরা তাকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
#social
